পলাশ বাউরির রোজকার অভিজ্ঞতা , মতামত, চিন্তাভাবনা ইত্যাদির ব্লগের আকারে 🦊। দর্শন , সমাজ , বিজ্ঞান , সাহিত্য , ইত্যাদি সম্পর্কে বাংলা ব্লগ নিবন্ধ / প্রবন্ধ সমগ্র। লেখক পলাশ বাউরি একজন ভারতীয় লেখক , গবেষক ও ব্লগার।
সত্যি করে বলছি, এই স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে আমার লেখার কোনোদিনই ইচ্ছা ছিল না। কারণ অনেক, তার মধ্যে কয়েকটি অন্যতম হল - বিষয়টি সমাজের একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে নিয়েই যে সম্প্রদায়ের অন্তর্গত আমি নিজেই আর তাছাড়া এইযুগে নিজেকে একটু রাজনৈতিকভাবে সঠিক রাখাই ভালো; কে বলতে পারে কোথাও থেকে কোনসময় হঠাৎ করে ব্যক্তিগত আক্রমণ ছুটে আসতে পারে। যাইহোক, অতশত না ভেবে ঠিক করলাম আজ লিখবই এবিষয়য়ে; কারণ আমার মনে হল লেখা দরকার! তবে আমি আগেই বলে রাখতে চাই, আমি এখানে তাদের প্রতিটি যুক্তি খণ্ডন করতে এখানে লিখতে শুরু করিনি। আমি শুধু এখানে শুধু এটা আলোচনা করার জন্য যে তাদের মুল বক্তব্যে কোথায় ত্রুটি রয়েছে এবং সেই ত্রুটিপূর্ণ দর্শনকে বাস্তবজীবনে ফলালে কী কী বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। ফেসবুকে বা অন্যান্য সামাজিক মাধামে বিভিন্ন মানুষ বিশেষ করে ভারতীয় সংবিধানের অসংরক্ষিত সম্প্রদায়ের মানুষ প্রতিবাদের একঝড় তুলছে - তাদের দাবি জাতি ভিত্তিক সংরক্ষণ বন্ধ করতে হবে অর্থাৎ তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতিদের জন্যে যে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে সংবিধান প্রণেতাদের দ্বারা সেটি প্রত্যহার করে, উপার্জন বা আর্থিক অবস্থার ভিত্তিতে সংরক্ষ
ধরো আমার দুই বন্ধু, রাম ও রহিম। রাম বেশ খোলামেলা প্রকৃতির, সবার সঙ্গেই চট করে মিশতে পারে, ওর বন্ধুবান্ধবের সংখ্যাও অনেক; অন্যদিকে রহিম একটু অন্তর্মুখী প্রকৃতির, সবার সাথে চট করে মিশতে পারে না, আমাকে ছাড়া ওর তেমন আর কোনো বন্ধু নেই। রাম থাকে যৌথ পরিবারে, বেশ বড়সড় পরিবার, অনেক সদস্য; অন্যদিকে রহিম থাকে ওর মা ও বাবার সাথে একটা বাড়িতে, বুঝতেই পারছো ওদের বাড়িতে তিনজন মাত্র সদস্য। কদিন আগে শুনলাম ওদের মধ্যে একজন ডিপ্রেশন (অবসাদ) ও এংজাইটি (উদ্বেগে) ভুগছে! শুনে খুব বিস্মিত হলাম। তোমরা কি এবার আন্দাজ করতে পারছো, ঠিক কার ডিপ্রেশন হয়েছে? রাম নাকি রহিম? আমার উপরের বর্ণনা শুনে তোমার স্বাভাবিক উত্তর হবে রহিম। এটাই কিন্তু স্বাভাবিক উত্তর। কিন্তু এবার আসল উত্তরটা শুনে তুমিও আমার মতো বিস্মিত হবে। রামের ডিপ্রেশন হয়েছে। অবাক হলে? স্বাভাবিক! মানসিক অবসাদ বা উদ্বেগ হল এমন একটা সমস্যা, কার সাথে যে হবে তার কোনো ঠিক নেই। বিভিন্ন পরিবেশগত, জিনগত ইত্যাদি বিষয়ের ওপর এইসব জিনিস নির্ভর করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, পৃথিবীতে প্রায় ২৬৪ মিলিয়ন (সব বয়সের) মানুষ ডিপ্রেশনে আক্রান্ত। কিন্তু
প্রায় প্রত্যক কলেজেই নবীন বরণ অনুষ্ঠান হয়। আমাদের ডি.এল.এড কলেজও তার ব্যতিক্রম রইল না। যদিও এখনো দেশ থেকে করোনা সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি, ভ্যাকসিন বেরিয়েছে বলেই একটা অগ্রসরমান অতিমারিকে সম্পূর্ণ অবজ্ঞা করে, তড়িঘড়ির মধ্যে এত জনসমাবেশ করে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করার প্রয়োজনীয়তা আমার বোধগম্য হয়না। আরও কয়েকমাস পর, দেশের বেশিরভাগ মানুষ ভ্যাকসিন নিয়ে নেওয়ার পরেই অনুষ্ঠান করলে আমার মতে তা উপযুক্ত হত। থাক এই ব্যপারটিকে নাহয় কিছুক্ষণের জন্য বাদই দিলাম (!!)। এটাই প্রথমবার শিক্ষার্থী হিসাবে কলেজ গেলাম। মনের ভেতর একটা চাপা উৎকণ্ঠা তো অবশ্যই ছিল। যাইহোক, কলেজে ঢুকেই একটা বিরাট অসুবিধার সম্মুখীন হলাম, কলেজটি বেশ বড় হওয়ার দরুন, ঠিক কোথায় অনুষ্ঠানটি হবে সেটা খুঁজতেই অনেক সময় লেগে গেল। যাইহোক, স্বাভাবিক নিয়মেই প্রদত্ত সময়ের অনেক পরেই অনুষ্ঠান শুরু হল। বেশ কিছুক্ষণ অনুষ্ঠান চলল। সেই সুযোগে অনেকের সাথে পরিচয়ও ঘটল। তবে কলেজে দেখলাম, ছেলের তুলনায় মেয়ের আধিক্য, সামাজিক উন্নতির দিক থেকে দেখলে যা একটি ভালো দিক। খাওয়া দাওয়ারও ব্যবস্থা ছিল - নিরামিষ ও আমিষ দুই ধরনেরই। অনুষ্ঠান বেশ ভালো হল। একটা ভালো জিনিস
মন্তব্য
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন